মাদকের ছোবল থেকে তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে
প্রকাশিত : ০৭:০১ পূর্বাহ্ণ, ২৬ জুন ২০২৩ সোমবার ৫২ বার পঠিত
আজ ২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘People first: stop stigma and discrimination, strengthen prevention’. অর্থাৎ ‘মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে কলঙ্ক ও বৈষম্য বন্ধ করুন, প্রতিরোধ জোরদার করুন’। এর নিহিতার্থ হলো, মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের প্রতি বৈষম্য দূর করতে ও সহানুভূতি দেখাতে হবে, যাতে করে তারা তাদের সমস্যাটির
জন্য সহযোগিতা নিতে পারেন এবং সর্বোপরি প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। মাদকাসক্তি বর্তমান বিশ্বের ক্রমবর্ধমান সমস্যাগুলোর অন্যতম। আমাদের আশপাশে আত্মীয়-পরিজন কিংবা বন্ধু-বান্ধব কারও এ সমস্যা থাকলে তাকে সবাই নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে। এমনকি তার পরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন বৈষম্যমূলক আচরণ করে। যেমন-সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারকে অপমান করা, যোগ্যতা থাকলেও কর্মক্ষেত্রে চাকরিচ্যুত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া ইত্যাদি। সমাজের এসব নেতিবাচক আচরণের ভয়ে একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিবারও অনেক সময় মাদক সমস্যার সমাধানে কারও কাছে সহায়তা চাইতে লজ্জা ও সংকোচবোধ করে এবং সমস্যাটি সামনে নিয়ে আসতে চায় না। ফলস্বরূপ, সমস্যার তীব্রতা যখন অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়, তখন মাদকনির্ভর ব্যক্তির সমস্যার ধরন অনুযায়ী কী ধরনের চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন, তা বিবেচনা না করেই চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করে। আবার কখনো মাদকাসক্ত ব্যক্তির ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হয়।
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, অন্যান্য রোগের মতোই মাদক সমস্যা একটি রোগ। এ রোগকে বলা হয় ‘ক্রনিক রিল্যাপ্সিং ব্রেন ডিজিজ’। সঠিক নিয়মে এবং একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে এভিডেন্স বেজ্ড ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা সম্ভব এবং চিকিৎসা-পরবর্তী নিয়মিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রোগীর সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব। কিন্তু আমাদের সমাজের বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরাও চিকিৎসার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন না।
দেশে বর্তমানে মাদকাসক্তদের সম্পর্কে সরকারিভাবে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও বেসরকারিভাবে দেশে ১ কোটিরও বেশি মাদকাসক্ত রয়েছে এবং মাদকসেবীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই যুবক। তাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ বেকার। ৬০ শতাংশ অপরাধের সঙ্গে জড়িত। কিছুদিন আগেও যারা ফেনসিডিলে আসক্ত ছিল, তাদের অধিকাংশই এখন ইয়াবা আসক্ত। সাম্প্রতিককালে ইয়াবা আমাদের দেশের যুবসমাজকে গ্রাস করেছে। প্রতিদিন যেমন ইয়াবা চোরাচালান ধরা হচ্ছে, তেমনি হাজার হাজার পিস ইয়াবা তরুণরা গ্রহণ করছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাদকাসক্তদের ৩০ শতাংশই শুধু নেশার খরচ জোগান দিতে নানা ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। মাদকাসক্তির ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছে ছাত্র ও শিক্ষিত বেকারদের মধ্যে। দেশে নারীদের মধ্যেও মাদকাসক্তদের সংখ্যা বাড়ছে। এটি উদ্বেগের কারণ। মাদকাসক্তদের শতকরা ৫ জন নারী। তাদের মধ্যে ছাত্রী, গৃহিণী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী রয়েছেন। নারী আসক্তদের ৯০ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। বাকিদের বয়স ৩৫ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে।
সম্প্রতি উখিয়ায় ১২০ কোটি টাকার আইস জব্দ করা হয়েছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার দেশের সর্ববৃহৎ আইসের চালান জব্দ হয়েছে। উখিয়ায় চালানো এ অভিযানে ২৪ কেজি ২০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ধরা পড়ে, এ আইসের মূল্য আনুমানিক ১২০ কোটি টাকা বলে উল্লেখ করেছে র্যাব। কক্সবাজার ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রিস্টাল মেথসহ বিভিন্ন ভয়ংকর মাদক চোরাচালান হচ্ছে এবং এ ভয়ংকর মাদকের এখন চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ বাড়ছে। ইতঃপূর্বে কক্সবাজারেও ২১ কেজি ৯০ গ্রাম আইসের চালানসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর আগে গত বছরের ২২ মার্চ আইসের চালান জব্দ করেছিল র্যাব। তখন মুন্সীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ১২ কেজি আইসের একটি চালান জব্দ করা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, মালয়েশিয়ায় বসে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এ আইসের সিন্ডিকেট। প্রথমদিকে সিলিকা জেলের আড়ালে আইস আনা হয়। ক্ষুদ্র দানাদার আইস দিয়ে একবার নেশা করতে অনেক টাকা লাগে। ১০ গ্রাম আইস বাংলাদেশে বিক্রি হয় প্রায় ১ লাখ টাকায়।
গত চার মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে আইস উদ্ধারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনাই বলে দিচ্ছে দেশে বিপুল পরিমাণে এ মাদক ঢুকছে। চলতি বছরের চার মাসে উদ্ধার হওয়া ৬৬ কেজি আইসের মধ্যে ৯টি চালান ছিল এক কেজির বেশি। এসব চালান ধরা পড়েছে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায়। এর আগে ২০২০ সালে দেশে আইস উদ্ধার হয়েছিল মাত্র ৬৫ গ্রাম। তবে ২০২১ সালে আইস উদ্ধার করা হয় ৩৬ কেজি ৭৯৪ গ্রাম। আর ২০২২ সালে আইস উদ্ধার হয় ১১৩ কেজি ৩৩১ গ্রাম। জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধবিষয়ক সংস্থা (ইউএনওডিসি) বলেছে, বাজারে যত মাদক ঢোকে, তার মাত্র ১০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়। সুতরাং, এ পরিসংখ্যান থেকেও বোঝা যায় কী পরিমাণ মাদক আমাদের দেশের তরুণরা গ্রহণ করছে।
মানবদেহের ওপর আইসের প্রভাব ভয়ংকর। ছয় মাসের মধ্যে এর সেবনকারীদের অঙ্গহানিসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। এটি মূলত স্নায়ু উত্তেজক মাদক, যা সেবনের ফলে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় হরমোনের উত্তেজনা হাজার গুণ বেড়ে যায়। এর ফলে ব্রেইন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর তীব্র রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে ধীরে ধীরে দাঁতও ক্ষয়ে যায়। এ মাদক সেবনে স্থায়ী হ্যালুসিনেশন সৃষ্টি হয়। স্বচ্ছ কাচের (ক্রিস্টাল) মতো দেখতে এ মাদক সেবনে নিদ্রাহীনতা, স্মৃতিবিভ্রম, মস্তিষ্ক বিকৃতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন ধরে এটি সেবনে ওজন হারানো, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা, বিষণ্নতা, স্ট্রোকসহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। থাইল্যান্ড, ব্যাংকক, মালয়েশিয়া, হংকং, আর্জেন্টিনাসহ বিভিন্ন দেশে এটি পাওয়া যায়।
ইয়াবায় ম্যাথঅ্যামফিটামিন (এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান) থাকে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। আর আইসে ম্যাথঅ্যামফিটামিন থাকে ৯৫ শতাংশ। এটি অল্প পরিমাণে সেবনেও সাময়িকভাবে শারীরিক ও মানসিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এ কারণে ইয়াবাসেবীরা ইয়াবার চেয়ে আইস সেবনে বেশি আগ্রহী হচ্ছে। ঢাকায় ১ গ্রাম আইস বিক্রি হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায়। উচ্চবিত্ত পরিবারগুলোতে যারা মাদকসেবী, তাদের কাছে আইস বেশি জনপ্রিয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, যে পথে দেশের ইয়াবার চালান ঢুকছে, সেই একই পথে ঢুকছে আইস। জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে নৌপথে নাফ নদী পেরিয়ে ৯০ শতাংশ আইস দেশে আসছে। অধিকাংশ বড় চালানই ধরা পড়েছে গত দেড় বছরে। আশির দশকের শুরুতে দেশে মাদক বলতে মূলত ছিল ফেনসিডিল। ভারত সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা দিয়ে এ মাদক দেশে ঢুকত। তবে গত এক দশকে পরিস্থিতি পালটে যায়। ফেনসিডিলের পরিবর্তে দেশে ইয়াবার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। এখন আসছে আইস। সুতরাং, চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে দেশে মাদকের, বিশেষত নতুন নতুন মাদকের সরবরাহ বাড়ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে অপ্রচলিত বিভিন্ন ধরনের মাদকও ধরা পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফেনইথাইলামিন, এলএসডি, ডায়মিথাইলট্রিপ্টামাইন বা ডিএমটি, ম্যাজিক মাশরুম, খাত (ইথিওপিয়ার উঁচু ভূমিতে জন্মানো এক ধরনের উদ্ভিদের পাতা), কুশ (মারিজুয়ানা প্রজাতির গাছ), এক্সট্যাসি, হেম্প, ফেন্টানিল, মলি ও এডারল। বিদেশে এসব মাদক প্রচলিত হলেও বাংলাদেশে অপ্রচলিত। তবে নতুন এসব মাদকের প্রভাব ইয়াবার চেয়েও বেশি। গত তিন বছরে এসব মাদক বিভিন্ন দেশ থেকে নানাভাবে এ দেশে এসেছে। কোনো চালান এসেছে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে, কোনোটি বিদেশ থেকে উড়োজাহাজে কোনো যাত্রী নিয়ে এসেছেন। আবার কোনো কোনো মাদক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ধরা পড়েছে।
তবে মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বাত্মক অভিযানের পরও সীমান্তপথে ইয়াবা আসা কমেনি। আইস বা ক্রিস্টাল ম্যাথ যেভাবে আসছে, তা সবাইকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, মিয়ানমারের অবস্থান সহযোগিতামূলক নয়। বিভিন্নভাবে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে; কিন্তু তারা সহযোগিতা করছে না। তাছাড়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিয়ানমারের মাদকচক্রের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। তাদের মাধ্যমেও মাদক আসছে, যা দেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।
সম্প্রতি মাদক সম্পর্কিত আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মাদক ব্যবসার কারণে দেশে বছরে পাচার হয় প্রায় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড তাদের ওয়েবসাইটে অবৈধ অর্থপ্রবাহ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। পাচার করা টাকার হিসাব অনুমানভিত্তিক হিসাবে তুলে ধরেছে সংস্থাটি। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৯টি দেশের মাদকসংশ্লিষ্ট অবৈধ অর্থপ্রবাহের হিসাব তুলে ধরা হয়। তথ্য বিবরণীতে আরও বলা হয়েছে, মাদকসংশ্লিষ্ট অর্থ পাচারের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। আর এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে। অবৈধ অর্থপ্রবাহ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে আঙ্কটাড বলেছে, মাদক ব্যবসার কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর পাচার হয় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।
মাদকদ্রব্য অপব্যবহারের বিরুদ্ধে আইন ও শাস্তির বিধান : হেরোইন, ফেনসিডিল, আফিম, মরফিন, নেশার ইনজেকশন, গাঁজা, ভাং, মদ, তাড়ি, ঘুমের ওষুধ ইত্যাদির উৎপাদন, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বহন-পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিষিদ্ধ ও মারাত্মক অপরাধ। এসব অপরাধ দ্রুত বিচার আদালতে বিচার্য এবং এক্ষেত্রে সাধারণত জামিন দেওয়া হয় না। মাদক অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও মাদকাসক্তি দেশের উন্নয়নে অন্যতম বাধা বলে মনে করছেন অনেকেই। তাই এ বাধা দূর করতে মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। সেই সঙ্গে মাদকসহ গ্রেফতারকৃতরা এবং মাদক ব্যবসায়ীরা যাতে জামিনে ছাড়া না পায়, সেজন্য নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা।
আমাদের করণীয় : ১. কেউ মাদকাসক্ত হলে তা গোপন না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন; ২. মাদকাসক্তদের ঘৃণা না করে ভালোবাসা দেওয়া প্রয়োজন; ৩. কেউ আসক্ত হলে স্বজন, বন্ধু, ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করা প্রয়োজন; ৪. আসক্তির লক্ষণ দেখা দিলেই নিরাময় কেন্দ্রে যোগাযোগ করা এবং আসক্তকে ভালোবেসে তাকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বৈষম্য নয়, মাদকাসক্ত ও তার পরিবারের প্রতি বাড়াতে হবে সহযোগিতার হাত, তবেই বাস্তবায়ন হবে প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি। কারণ, ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’।
অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী : প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস); সদস্য, জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
prof.arupratanchoudhury@yahoo.com
kushtiatime24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।